পঞ্চম আদম শুমারির প্রাথমিক ফলপ্রকাশের ঠিক একবছরের মাথায় সোমবার বঙ্গভবনে পঞ্চম আদম শুমারি ও গৃহগণনা ২০১১-এর এই চূড়ান্তফল প্রকাশ করা হয়।
সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েব সাইটে আদম শুমারির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতদশকে জনসংখ্যা প্রতিবছর ১দশমিক ৩৭শতাংশ হারে বেড়েছে যা ২০১১সালে ছিল ১দশমিক ৫৮শতাংশ।
এতেবলাহয়, নারী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান- ৭কোটি ৬৩লাখ ৫০হাজার ৫১৮জন পুরুষ ও ৭কোটি ৬১লাখ ৬৭হাজার ৪৯৭জন নারী। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৫জন।
একযোগেবাংলাদেশেরসবজেলারসদরদপ্তরথেকেআদমশুমারিরফলপ্রকাশকরাহয়।
প্রেসিডেন্টজানান, জাতীয়সম্পদবন্টনেভারসাম্যআনা, নির্বাচনীএলাকাচিহ্নিতকরাএবংচাকরিতেকোটানির্দিষ্টকরারক্ষেত্রেএপ্রতিবেদনেরতথ্যখুবইকাজেআসবে।
গতবছরেজুলাইয়েএইআদমশুমারিরপ্রাথমিকফলাফলেবলাহয়েছিল, আদমশুমারিররাত২০১১সালের১৫মার্চদেশেরজনসংখ্যাছিল১৪কোটি২৩লাখ১৯হাজার, যাধারণারচেয়েকমবলেতখনবিস্ময়প্রকাশকরেনঅনেকেই। এরমধ্যে৭কোটি১২লাখ৫৫হাজারপুরুষএবং৭কোটি১০লাখ৬৪হাজারনারী।
গতবছরপ্রাথমিকফলপ্রকাশেরপরআদমশুমারিরতথ্যযাচাইয়েরদায়িত্বদেওয়াহয়বাংলাদেশউন্নয়নগবেষণাপ্রতিষ্ঠান-বিআইডিএসকে। গত৯এপ্রিলবিআইডিএসজানায়, তাদেরমূল্যায়নেশুমারিতে৩দশমিক৯৭শতাংশমানুষগণনাথেকেবাদপড়েছে।
এইভুলসংশোধনকরেইজনসংখ্যারচূড়ান্তহিসাবপ্রকাশকরলোবাংলাদেশপরিসংখ্যানব্যুরো।
আদমশুমারির প্রকল্পপরিচালক অসীম কুমার দে বলেন, “তথ্য যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে আদমশুমারির রাতে মোটজনসংখ্যা ছিল ১৪কোটি ৯৭লাখ ৭২হাজার। এটার ওপর ভিত্তি করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধরে আজকের (জুলাই১৬) হিসেববের করা হয়েছে।”
পরিকল্পনামন্ত্রণালয়েরপরিসংখ্যানবিভাগেরসচিবরীতিইব্রাহিমজানান, স্বল্পতমসময়েতারাচূড়ান্তফলপ্রকাশকরতেপেরেছেন।
আদমশুমারিরজন্যমার্কিনসেন্সাসব্যুরোআধুনিকসফটওয়ারওস্ক্যানারএবংইউরোপীয়ইউনিয়নওইউএনএফপিএঅর্থনৈতিকসহায়তাদেয়।
অনুষ্ঠানেপরিকল্পনামন্ত্রীএকেখন্দকারজানান, প্রায়১কোটিবাংলাদেশিবিদেশেথাকেন, যাদেরআদমশুমারিতেগোনাহয়নি।
প্রতিবেদনেবলাহয়, ৭বছরেরবেশিবয়সীজনসংখ্যারমধ্যেসাক্ষরতারহার৫১দশমিক১শতাংশ। এরমধ্যেপুরুষওনারীদেরসাক্ষরতারহারযথাক্রমে৫৪দশমিক১ও৪৯দশমিক৪শতাংশ। প্রতিবন্ধীদেরহার১দশমিক৪শতাংশ। ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী১দশমিক১০শতাংশ।
চূড়ান্তফলেদেখাগেছে, দেশেমোটখানার(একরান্নায়যতজনখায়) সংখ্যা৩কোটি২১লাখ৭৩হাজার৬৩০টি, এরমধ্যেবাসাবাড়িরখানা৩কোটি১৮লাখ৬৩হাজার৩৯৬টি।
স্বাধীনতারপর১৯৭৪সালেদেশেপ্রথমআদমশুমারিহয়। তখনপ্রাথমিকফলাফলেজনসংখ্যা৭কোটি১৪লাখদেখাগেলেওচূড়ান্তফলাফলেতাবেড়ে৭কোটি৬৪লাখহয়।
আর২০০১সালেচতুর্থআদমশুমারিতেদেশেরজনসংখ্যাছিল১২কোটি৪৩লাখ৫৫হাজার। জনসংখ্যারঘনত্বছিলপ্রতিবর্গকিলোমিটারে৮৩৪জন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস